www.all-netrokona.blogspot.com

Thursday, August 4, 2016

সৌদিতে ১ বছর ধরে একবেলা খেয়ে আছে ১৪৪ জন বাংলাদেশি




সৌদি আরবে  এক বছর ধরে একবেলা খেয়ে আছে ১৪৪ জন বাংলাদেশি।সৌদি আরবে অর্থনৈতিক মন্দার ফলে হাজার হাজার শ্রমিক ছাটাইয়ের পাশাপাশি দেশটিতে এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে আসা অনেক শ্রমিক এখন বেকার রয়েছেন।যার ফলে মানবেতর জীবন যাপন করছে অনেক শ্রমিক।

সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা যাতে চাকুরি করতে পারেন বা দেশত্যাগ করতে পারেন সে লক্ষ্যে বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে।



এর মধ্যে সৌদি আরবের পূর্বঞ্চলের একটি প্রতিষ্ঠানের শতাধিক শ্রমিক গত ৭ মাস যাবত বেকার রয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন ১৪৪ জন বাংলাদেশি। কিভাবে এখন তারা দিন কাটাচ্ছেন? তাদের একজন মিজানুর রহমান বিবিসির সাংবাদিককে বলেছেন, আমরা এখানে বাংলাদেশি, পাকিস্তানি, নেপাল, এবং শ্রীলঙ্কার দেশগুলোর মানুষ একসাথে আছি। আমরা একটি কোম্পানিতে চাকুরি করতাম।

তিনি আরও বলেন, এক বছরে আগে শুনেছিলাম, এই কোম্পানির লাইন্সেস বাতিল হয়ে গেছে। তারপরে আস্তে আস্তে আমাদের বেতন বন্ধ হতে শুরু করলো। শেষ ৬ মাস আমরা বেতন পাইনি এবং চলতি ৪ মাস কোনো কাজ নেই, কোনো খাবারও নেই। গত ৪ মাস ধরে কোম্পানিটি খাবারের টাকা দেয়াও বন্ধ করে দিয়েছে।
আপনারা এই অবস্থায় কিভাবে দিন কাটাচ্ছেন? উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের এখানে একটা ইসলামিক দাওয়াত সেন্টার আছে, সেখান থেকে আমাদের খাবার দেয়া হতো রমজান মাসে। রমজান মাসের আগে এ রকম আরও একটা কোম্পানি আমাদের সাহায্য করেছিল। তখন তারা আমাদের চাল, ডাল, ইত্যাদি কিনে দিয়েছিল। ঐ খাবার আমার এখনো খাচ্ছি। কিন্তু বর্তমানে আমাদের অবস্থা করুণ।

কারণ ঐ খাবারগুলোও প্রায় শেষ এবং কারও কাছে কোনো টাকাও পাইনি। এমনকি, আমরা সৌদি সরকারে প্রতিনিধিদের সাথে অনেকবার এই বিষয় নিয়ে কথা বলেছি কিন্তু তাতে কোনো সাড়া মেলেনি। এ অবস্থায় আমারা বাইরে কোনো কাজেও যেতে পারছিনা। আমরা আপাতত ১ বেলা খেয়ে আছি। ভারতের কিছু কোম্পানি তাদের দেশের লোকদের সাহায্য করছে। ঐ খাবার আমরা সবাই মিলে খেতে পারছি।

আপনাদের কি দেশে ফিরে আসতে হবে? আর আসলেই বা কিভাবে আসবেন? জবাবে মিজানুর রহমান বলেন, এ অবস্থায় বাংলাদেশ থেকে যদি কোনে মন্ত্রী বা বড় মাপের কোনো মানুষ যদি আমাদের পাশে এসে দাঁড়ায় তাহলে হয়তো একটা কিছু হবে। এমনও হতে পারে যে তাদের কারণে আমরা অন্যকোনো কোম্পানিতে কাজ করার সুযোগও পেতে পারি। যদিও জায়গা পরিবর্তন করতে ১ থেকে দেড় লাখ টাকা লাগে এই টাকাটা কে দিবে সেটাও ভাবার বিষয়। কারণ, আমাদের কারও কাছে কোনো টাকা নেই।

No comments:

Post a Comment